লালমনিরহাট জেলা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা
ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডল
এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
পরিচয় :
নাম- ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডল (ডাক নামঃ সবুজ)। পিতা- মোঃ শহীদুল ইসলাম মন্ডল এবং মাতা- মোছাঃ আখতারা বেগম। জন্ম তারিখ- ০২/০১/১৯৭৭ খ্রীষ্টাব্দ। ঠিকানা- সবুজ নীড়, পূর্ব থানাপাড়া, লালমনিরহাট। তিনি একজন গবেষক হিসেবে সমাদৃত। তার পিতা মোঃ শহীদুল ইসলাম মন্ডল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরীজীবী এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। পিতামহ সাহাদত আলী মন্ডলও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। বংশ পরম্পরায় তারা সমাজ ও দেশের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন। স্ত্রী মোছাঃ আজমেরী হোসেন, কন্যা আশরাফুন্নাহার ¯েœহা এবং পুত্র আহমাদ মন্ডল নূর কে নিয়ে চলছে তার সংসার জীবন।
প্রকাশনার বিবরণ :
বর্ষের ইতিবৃত্ত (জুলাই, ২০০২ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলার পীর বুজুর্গের মাজার ও ধাম (মে, ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলার দর্শনীয় ঐতিহ্য (আগষ্ট, ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দ), ডাঃ সেরাজুল হকের কবিতা (মার্চ, ২০০৪ খ্রীষ্টাব্দ), সুরুতুজ্জামান সুরুজের কবিতা (এপ্রিল, ২০০৪ খ্রীষ্টাব্দ), কবি তমিজ উদ্দিনের ইসলামী চেতনা (মে, ২০০৪ খ্রীষ্টাব্দ), কবি সুরুতুজ্জামান সুরুজের সঙ্গীত (ডিসে¤বর, ২০০৪ খ্রীষ্টাব্দ), বিজ্ঞান প্রেমী চয়ন (ফেব্রæয়ারি, ২০০৫ খ্রীষ্টাব্দ), বাইসাইকেল ক্রীড়াবিদ ক্ষিতিশ (সেপ্টে¤বর, ২০০৫ খ্রীষ্টাব্দ), চয়নের কবিতাগুচ্ছ ফুলের মূল্য (অক্টোবর, ২০০৫ খ্রীষ্টাব্দ), জেলার নাম লালমনিরহাট (মে, ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ), কবি সুরুজের শত সঙ্গীত (জুন, ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ), গীতিকার বাদশা আলম (সেপ্টে¤বর, ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ), বাউল রাজ্জাক দেওয়ান (অক্টোবর, ২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলায় প্রচলিত প্রবাদ প্রবচন (ফেব্রæয়ারি, ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলায় প্রচলিত ধাঁধাঁ (মে, ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দ), এগিয়ে চলেছে লালমনিরহাট (মে, ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দ), মতিউর রহমান বস্নীয়ার জীবনের পথে ঘাটে (জুন, ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলার ইতিহাস (অক্টোবর, ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দ), কবি ও গীতিকার পাগলা জাহাঙ্গীর (এপ্রিল, ২০১০ খ্রীষ্টাব্দ), জগতের মোসলেম কীর্ত্তি হজ্জে বায়তুল্লাহ (জুন, ২০১০ খ্রীষ্টাব্দ), রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা: অভিভাষণ ও লোকসাহিত্য (ফেব্রæয়ারি, ২০১১ খ্রীষ্টাব্দ), পাগলা গীতি (এপ্রিল, ২০১১ খ্রীষ্টাব্দ), রবীন্দ্র স্মৃতি অ্যালবাম (মে, ২০১১ খ্রীষ্টাব্দ), কবি শেখ ফজলল্ করিমের স্মৃতি নিদর্শন (সেপ্টে¤বর, ২০১১ খ্রীষ্টাব্দ), কবি ও গবেষক ধর্ম্ম নারায়ণ সরকার ভক্তিশাস্ত্রী (ফেব্রæয়ারি, ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাট জেলার ভাষা সৈনিক (মার্চ, ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ), রংপুর অঞ্চলের ডাকাত তথ্য (অক্টোবর, ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাটের স্মরণীয় স্মরণিকা ও বর্তমান (ফেব্রæয়ারি, ২০১৩ খ্রীষ্টাব্দ), লালমনিরহাটের স্মরণীয় পত্রিকা, রিপোর্ট ও সভা বিবরণী (জানুয়ারি, ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দ), মানে..... (এপ্রিল, ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দ), কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহার আলী (সেপ্টেম্বর, ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দ), একটি ইতিহাসের একটি কাব্য (ডিসেম্বর, ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দ), বাংলাদেশে গণহত্যা (মে, ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দ), মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর প্রার্থনা (জুন, ২০১৫ খ্রীষ্টাব্দ) এবং রংপুরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চায় রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ (ডিসেম্বর, ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দ)। এগুলো ছাড়াও তার সম্পাদিত সম্মাননা স্মারক পত্রের সংখ্যা- ৪টি। প্রকাশনার অপেক্ষায় রয়েছে ৭টি পান্ডুলিপি।
সাংগঠনিক সংশ্লিষ্টতা :
(১) প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক, লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর (২) উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য, লালমনিরহাট জেলা বাউল সমিতি (৩) উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য, হেরিটেজ আরকাইভস অব বাংলাদেশ হিস্টরি ট্রাস্ট, রাজশাহী (৪) আজীবন সদস্য, কবিসংসদ বাংলাদেশ, ঢাকা এবং (৫) চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক, লাল দর্পণ অনলাইন টেলিভিশন ও নিউজ পেপার।
পুরস্কার/ সম্মাননা :
(১) রোদ্দুর সম্মাননা, ১৪১১ বঙ্গাব্দ (২) হামার লালমনি প্রদর্শনী পুরস্কার, ২০০৬ (৩) প্রথমআলো-গ্রামীণফোন সম্মাননা, ২০০৬ (৪) লালমনিরহাট রতœ সম্মাননা, ২০০৭ (৫) লালমনিরহাট পৌরসভা সম্মাননা, ২০০৮ (৬) আরশীনগর গুণীজন সম্মাননা, ২০১২ (৭) কবিসংসদ বাংলাদেশ সম্মাননা- ২০১৪ (৮) স্মৃতি৭১ স্বর্ণপদক- ২০১৫ (৯) কবি জসীম উদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার- ২০১৫, (১০) ৭১Õর চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ স্মারক সম্মাননা- ২০১৬ এবং (১১) লালমনিরহাট বার্তা গুণীজন সম্মাননা- ২০১৭।
অন্যান্য তথ্যাবলী :
জাতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে স্থানীয় তথা তৃণমূল পর্যায়ের ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম। লালমনিরহাট সহ রংপুর অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির স্মৃতিবাহী তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক তা সংরক্ষণ এবং গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে তিনি ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দের ১৮ মে ব্যক্তিগত উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.ফিল-পিএইচ.ডি গবেষক সহ সাধারণ গবেষক এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে বিনা মূল্যে তথ্য-উপাত্ত গ্রহণ করে বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
যুব সমাজকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বেসরকারী উদ্যোগে লালমনিরহাট জেলায় তিনিই প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেন। ২০০৭ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল এলাকায় চেতনায় ৭১ শিরোনামে এ ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
২০১০ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি লালমনিরহাটে অনুষ্ঠিত সা¤প্রদায়িকতা বিরোধী সম্মিলিত আন্দোলনের প্রথম মতবিনিময় সভার তিনি আহŸায়ক ছিলেন। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারেক আলী।
একুশে পদক প্রাপ্ত ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমদ তার জীবনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম প্রদর্শনীর আলোকচিত্র গুলো ২০১০ খ্রীষ্টাব্দের ২৯ এপ্রিল লালমনিরহাট জেলা জাদুঘরে প্রদান করেন এবং ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডলকে তাঁদের একজন যোগ্যতম উত্তরসূরী হিসেবে অভিহত করেন।
বিশ্ব জাদুঘর দিবস- ২০১৩ উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর এবং ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডলের পরিচিতি ও কর্মকাÐ তুলে ধরা হয়।
রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ বর্তমান বাংলাদেশের প্রাচীনতম সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সাহিত্য চর্চার প্রথম বাতিঘর হিসেবে খ্যাত এ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্য (মফঃস্বল) পদে ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা উত্তরবঙ্গ সহ বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অনেক অজানা তথ্য ধারণ করে রয়েছে। তিনি এগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও গবেষণার উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে গবেষণাক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপনের চল্লিশ বছর (১৯৭২-২০১২ খৃঃ) উপলক্ষ্যে ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ ডিসেম্বর লালমনিরহাটে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস স্মারকগ্রন্থ- ১৯৭২ -এর উন্মুক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। বিজয় দিবস উদ্যাপনের চল্লিশ বছর (১৯৭২-২০১২ খৃঃ) বাংলাদেশের অন্য কোথাও এভাবে পালিত হয়নি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট ফোকলোর গবেষক ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল বাংলাদেশের ফোকলোর চর্চার ইতিবৃত্ত’ গ্রন্থে ড. মোঃ আশরাফুজ্জামান মন্ডল সম্পর্কে লিখেছেন- লোকসংস্কৃতি অঙ্গনের তরুণ গবেষকদের মধ্যে আশরাফুজ্জামানের নাম শীর্ষে। পেশাগত সাফল্য নয়, দেশ ও জাতির প্রতি অকৃত্রিম দায়বদ্ধতা থেকেই এক্ষেত্রে তাঁর আত্মনিবেদনা (অনার্য প্রকাশনী, কাটাবন, ঢাকা। অমর একুশে বইমেলা- ২০১১। পৃষ্ঠা নং- ৩০৬)।
-প্রচার বিভাগ
লালমনিরহাট জেলা জাদুঘর